ছবি : হাবিপ্রবিতে গাইবান্ধা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির চুড়ইভাতি ও নবীনবরন অনুষ্ঠিত।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গাইবান্ধা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো চুড়ইভাতি ও নবীনবরন ২০২৫। দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশ নেন হাবিপ্রবিতে পড়ুয়া গাইবান্ধা জেলার ১৮ থেকে ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) সকাল ১০টায় নানা কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে প্রোগ্রামের শুরু হয়। পরে মিলনমেলায় পরিণত হয় স্কুল মাঠ। ছেলেদের শর্টপিচ ক্রিকেট,মেয়েদের বালিশ খেলায় শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেন। দুপুরে পরিবেশন করা হয় বিশেষ ভোজ।এরপর বৃষ্টি আসায় প্রোগ্রাম এর বাকী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি রুমে।
সেখানে আয়োজিত হয় ফান বক্স,লটারি এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীর মুখে গান পরিবেশিত হয় এবং গাইবান্ধা জেলা থেকে নবাগত ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরন করে নেওয়া হয় এবং গাইবান্ধা ছাত্র কল্যান সমতির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত থেকে আনন্দ ভাগাভাগি করেন শিক্ষকবৃন্দও।
একজন নবীন শিক্ষার্থী বলেন, “প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে অংশ নিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। সিনিয়রদের অনেক ধন্যবাদ আমাদের ২৫ ব্যাচ কে এমন একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য।”
আয়োজকদের মধ্যে একাউন্টিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী এসএসবি শুভ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পর এই ধরনের একটি গ্র্যান্ড প্রোগ্রাম আয়োজন করতে পেরেছি। ২৫ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমরা চাই এই প্রথা অব্যহত থাকুক এবং ভবিষ্যতে আরও বড় ও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হোক।
পদার্থবিজ্ঞান ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, “প্রায় ৬ বছর পরে আমাদের একটি গ্রান্ড পিকনিক ও নবীনবরন হচ্ছে। ২৫ ব্যাচ সবার মাঝে একটা উৎসব বিরাজ করছে।৬ বছর পরে এরকম একটি প্রোগ্রাম তুলতে পেরে আমরাও নিজেদের ধন্য মনে করছি।সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি উৎসব বিরাজ করছে।আমরা চাই এই ধারা অব্যহত থাকুক,ভবিষ্যতে এমন প্রোগ্রাম আরো হোক,গাইবান্ধা জোন সবাই একসাথে থাকুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।”
প্রোগ্রামে উপস্থিত আর্কিটেকচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আসাদুল্লাহ আল ইমরান বলেন,“আমার বাসা গাইবান্ধা হওয়ার সূত্রে আজ অনেকগুলো ফেইস একসাথে দেখতে পাচ্ছি । আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে, কারণ আমি এখানে ২০১৮ সাল থেকে আছি,এরকম প্রোগ্রাম আসলে আগে হয়নি! সেই প্রেক্ষিতে এটা সত্যিই একটি অসাধারণ ইভেন্ট। একসাথে এতোগুলো গাইবান্ধার ছেলে-মেয়েকে দেখা আসলেই একটা ভালো লাগার বিষয়!এখানে সবার সাথে একটু একটু কথা হচ্ছে, কে কোথায় আছে জানা যাচ্ছে। এসব দেখে আমার পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে! এরকম প্রোগ্রামগুলো আরও হওয়া উচিত, যার ফলে নতুন এবং পুরাতন শিক্ষার্থীদের মাঝে মেলবন্ধন তৈরি হবে।
ক্রপ ফিজিওলজি অ্যান্ড ইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামাণিক বলেন, “অনেকদিন পর এমন একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত। আশা করি, ভবিষ্যতেও এরকম আয়োজন নিয়মিত হবে।”
প্রোগ্রাম শেষে গাইবান্ধা জেলার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়, যা ১০ তলা ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মেইন গেট পর্যন্ত অগ্রসর হয়।
মতামত