ছবি : রেলপথে দূর্ঘটনা রোধে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান।
পরিবার পরিজনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগী করতে ঈদের সময় বাড়িতে ফেরেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মক্ষেত্রে অবস্থানকরা মানুষেরা। অনেক সময় নির্ধারিত এ ছুটির সিংহভাগই চলে যায় যাতায়াতে। তবে, পরিবারের সদস্যদের হাসিমাখা মুখ দেখলেই দূর শত ক্লান্ত। ছুটিতে আসা কিংবা যাওয়ার ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের মানুষের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তার তালিকায় শীর্ষ নাম বাংলাদেশ রেলওয়ে। স্বল্প খরচ ও নিরাপদ ভ্রমনের মাধ্যম হওয়ায় বিভিন্ন উৎসব এলেই চাপ বাড়ে রেলে। তবে, ট্রেনের ছাদে ভ্রমন, দরজায় দাড়িয়ে থাকাসহ যাত্রীদের বিভিন্ন অসর্তকতার কারণে প্রায়ই ঘটে নানা দূর্ঘটনা।
দীর্ঘ ছুটি শেষে দিনাজপুরের পার্বতীপুর হয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে নাড়ীর টানে বাড়িতে আসা উত্তরাঞ্চলের মানুষেরা। নিরাপদ যাত্রার লক্ষে রেলপথে দূর্ঘটনা রোধে এবারে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। রেলওয়ে থানা পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে যৌথ অভিযান। উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাওয়া দিবারাত্রী বিভিন্ন আন্ত:নগর ট্রেনে ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ভ্রমনকারীদের সচেতন করছেন আভিযানিক দল। সেই সাথে মই ব্যবহার করে ট্রেনের ছাদ থেকে তাদের প্লাটফরমে নামিয়ে আনা হচ্ছে। বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি ফখরুল ইসলাম বলেন, দূর্ঘটনা রোধে এসপি স্যারের নির্দেশে প্রতিটি ট্রেনে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধ কর্মকান্ড এড়াতে যাত্রীদের সচেতনা বৃদ্ধিতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বতীপুরের চীফ ইন্সপেক্টর হাসান সিহাবুল ইসলাম জানান, রেল হলো নিরাপদ ভ্রমনের অন্যতম মাধ্যম। তবে, অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীদের ছাদে ভ্রমনসহ বিভিন্ন অসতর্কতার কারণে ঘটছে দূর্ঘটনা। নিরাপদে বাড়িতে আসা উত্তরাঞ্চলের মানুষেরা যেন, আবারও নিরাপদে রেল পথে তাদের কর্মস্থলে যেতে পারেন তাই আমাদের কার্যক্রম।
পার্বতীপুর জংশন রেল স্টেশনের মাষ্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, নিরাপদ যাত্রার লক্ষে আমাদের অভিযান। তবে, রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালা করতে সক্ষম হচ্ছি।
মতামত