ছবি : আওয়ামীলীগ দলের নিবন্ধন চাওয়া পত্র
নতুন করে রাজনৈতিক দল হিসেবে এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন চেয়ে আবেদনের মতো চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
জানা গেছে, গেল ২৪ মার্চ নৌকা অথবা ইলিশ প্রতীকে দলটির নিবন্ধন চেয়ে উজ্জল রায় (২৭) নামে এক ব্যক্তির পরিচয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আবেদন করা হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়লে শুরু নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ফরমের তথ্য অনুযায়ী আবেদনকারী উজ্জল রায় (২৭) দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের নরেশ চন্দ্রের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে উজ্জল অন্যতম। তার বড় ভাইয়ের নাম কনক চন্দ্র পেশায় চাকুরী জীবি ও বোন প্রতীমা রানী গৃহিনী।
উজ্জল পাশর্^বর্তী উপজেলার ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির নিয়মিত ছাত্র। সম্প্রতি নিবন্ধন চাওয়ার ঘটনার পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে বাড়ির লোকজনের কাছে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে উজ্জলের নতুন পরিচয় প্রকাশ পায়।
রহস্যজনক কারণে ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকার বিষয়ে মুখ না খুললেও পরিবারের দাবী দীর্ঘদিন যাবত মানসিক ভারসাম্যহীন উজ্জল। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকজনের মতে, বছরখানেক আগে হঠাৎই নিরামিষ খাওয়া শুরুর মাধ্যমে তার আচরনে পরিবর্তন আসে। পরবর্তীতে পরিবারসহ স্থানীয়দের কাছে উজ্জল হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম সংগঠন ইস্কনের সদস্য হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন বলে জানান তার মা পারুল রানী।
এ ঘটনার বিষয়ে উজ্জলের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলের শেষ দিকে হঠাৎই উজ্জলের আচরনে পরিবর্তন আসে। এমনকি, পারিবারিক ভাবেও তারা এলাকার একই সম্প্রদায়ের অন্যদের এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। সেই সাথে ইস্কনের নানা চিহ্ন তার পরিবারের মধ্যে ফুটে ওঠতে শুরু করে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন চেয়ে আবেদনের যে বিষয় তা খতিয়ে দেখার দাবী জানান তারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিবন্ধনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন উজ্জল। এতে সন্দেহের তীর উজ্জলের দিকে তাক করেন এলাকাবাসী।
ঘটনার পর থেকেই উজ্জল রায় পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কথা হয় তার বাবা নরেশ চন্দ্র ও মা পারুল রানীর সাথে। তাদের অভিযোগ, উজ্জলের নাম ব্যবহার করে কেউ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে, ঘটনার পর থেকে মুঠোফোন বন্ধ রেখে উজ্জলের আত্মগোপনে থাকার কারণ জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
এদিকে, বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস ছালাম।
মতামত