বিরল

নিজ জমিতে কাজ করার সময় কৃষককে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ; পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর

প্রিন্ট
নিজ জমিতে কাজ করার সময় কৃষককে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ; পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর

ছবি : নিজ জমিতে কাজ করার সময় কৃষককে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ।


প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:৪১

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর সীমান্ত থেকে নিজ জমিতে কাজ করার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া আল আমিনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। একই সাথে বাংলাদেশের নাগরিক কর্তৃক আটক হওয়া ভারতীয় কৃষককেও ছেড়ে দিয়েছে বিজিবি।  

শুক্রবার বিকেল ৪টায় এনায়েতুর দ্বীপনগর গ্রামের সীমান্তের শুন্য রেখার মেইন পিলার ৩২৩ নং এর সাব পিলার ১এস এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে আলা আমিনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। আলামিন দ্বীপনগর গ্রামে আইজ উদ্দিনের ছেলে। এই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় কৃষক নারায়ণ চন্দ্র রায়কেও বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। 

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান-উল ইসলাম ও ভারতের বিএসএফর অধিনায়ক বিপেন কুমার নেতৃত্ব দেন। 

এর আগে শুক্রবার সকালে এনায়েতপুর দ্বীপনগর গ্রামে সীমান্তের শূন্য রেখার পাশে নিজ জমিতে কাজ করার সময় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে বিরল উপজেলার এনায়েতপুর দ্বীপনগর গ্রামে সীমান্তের শূন্য রেখার ৩২৩ নং পিলারের পাশে আল আমিন নিজ জমিতে কাজ করছিল। এসময় বিএসএফ এসে তাকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানায়। প্রতিবাদে ভারতীয় এক কৃষককে ধরে এনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশি কয়েকজন নাগরিক। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুসুমন্ডি থানার পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র রায় (৪৫)। 

দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান-উল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে কয়েকজন বাংলাদেশী ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় ভারতের কর্তব্যরত বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করা বাংলাদেশী তাদের সহায়তা করেছি। এসময় সীমান্তের খুব কাছে ছিল আল আমিন। বিএসএফ আল আমিনকে সন্দেহ করে ধরে নিয়ে যায়। পরে খোজ নিয়ে জানা গেছে একজন সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ। পরে পতাকা বৈঠকের পর তাকে বিএসএফর কাছ থেকে ফেরত নেয়া হয়েছে। বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল। এব্যাপারে পতাকা বৈঠকে তাদেরকে আমরা কড়াভাবে প্রতিবাদ করেছি।