ছবি : হিলি স্থলবন্দরে কাঁচা মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে দাম।
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে কাঁচা মরিচ। তবে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের মান তুলনামূলকভাবে খারাপ এবং অতিরিক্ত গরমে মরিচ পচে যাওয়ায় চাহিদা ও দাম কমেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সরেজমিনে হিলি স্থলবন্দরে ঘুরে দেখা যায়, বন্দরের অভ্যন্তরে কাঁচা মরিচ কেনা-বেচায় ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে। যা চলতি বাজার দরের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ পচে যাওয়ার পাশাপাশি মান খারাপ হওয়ায় দাম কমেছে।
তারা জানান, গত সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত কেজি প্রতি মরিচের দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। বৃহস্পতিবার তা নেমে আসে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর শনিবার থেকে দাম আরও কমে দাঁড়ায় ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক সাহাবুল হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দরে চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। আমদানি হলেও তেমন ক্রেতা নেই বন্দরে। এছাড়াও আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ গরমের কারণে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে ১৮০ টাকার কাঁচা মরিচ বাধ্য হয়ে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমদানি বাড়লে কাঁচা মরিচের দাম আরো কমে আসবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন বলেন, হিলি স্থলবন্দরে আমদানিকৃত প্রতি মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হয়েছে। এতে প্রতিকেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৭৮ পয়সা। আমদানিকৃত সকল ধরনের কাঁচা পণ্য দ্রুত ছাড়করণে ব্যবসায়ীদের কাস্টমসের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি মাসের শুরু থেকে শনিবার পর্যন্ত ভারতীয় ১৬৯টি ট্রাকে মোট এক হাজার ৩০৮ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
মতামত