খানসামা

মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতার মৃত্যুর পর মামলায় নতুন ৭ আসামী যুক্ত

প্রিন্ট
মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতার মৃত্যুর পর মামলায় নতুন ৭ আসামী যুক্ত

ছবি : মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতার মৃত্যুর পর মামলায় নতুন ৭ আসামী যুক্ত


প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৫৮

দিনাজপুরের খানসামায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা বিএনপির নেতা শরীফ উদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় নতুন করে সাত জনকে আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল হক চৌধুরীকে হামলার পরিকল্পনার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিয়াল আমলী (খানসামা), দিনাজপুর আদালতে নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী ইশতিয়াক আহমেদ শুভ বাদী এক এজাহারে এটি উল্লেখ করেছেন।

এটি প্রকাশের পর স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ দেখা দিয়েছে।

এজাহারে নতুন আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সহিদুজ্জামান শাহ্, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সদস্য আজিজার রহমান শাহ্ ও ডা. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা যুবদল নেতা নাজমুল ইসলাম, ভাবকি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আ. জলিল, বিএনপি কর্মী হাফিজুর রহমান।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত শরীফ উদ্দিন সরকার দুই সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে ৬ আগস্ট মৃত্যু বরণ করেন। গত ২১ জুলাই নিহতের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ শুভ বাদী হয়ে কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

নিহতের ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ শুভ বলেন, “আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই, যারা যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।”

উপজেলা বিএনপির সদস্য আজিজার রহমান শাহ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের নাম জড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সাথে তাদের কোন রকম সম্পৃক্ততা নাই, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের নাম জড়ানো হয়েছে।

খানসামা থানার ওসি নজমূল হক জানান, ‘এখনো আদালত থেকে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আমাদের হাতে পৌঁছেনি। কাগজপত্র পেলে অবশ্যই নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট সকালে শরিফ উদ্দিন সরকারের মৃত্যুর পর তপরিবারের আপত্তি থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাত ৯ টায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয় প্রশাসন ও পুলিশ।

প্রসঙ্গত, খানসামা উপজেলা বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়ার অনুসারী, অন্যপক্ষ সংসদ সদস্য পদে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী। গত ১১ জুলাই থেকে কয়েক দফায় এই দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে মিয়া গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দাবি করছেন, কর্নেল গ্রুপের অনুসারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফ উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। অপর পক্ষ কর্নেল গ্রুপ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছেন এই ঘটনার সাথে আমাদের কেউ সম্পৃক্ত নয়।