ছবি : বীরগঞ্জের জনগনকে বোকা ভেবেছে চাল কালোবাজারি সিন্ডকেট ।
সরকারি চাল কালো বাজারে বিক্রির অপরাধে অভিযুক্ত ব্যাক্তির জেল জরিমানা উভয় প্রকার দন্ডের বিধান রয়েছে।
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ হাটে মোমর ট্রেডার্সের মালিক জামিনুর রহমানের গোডাউনে সাত দিন পূর্বে অভিযান চালিয়ে কালোবাজারির চাল আটক করা হলেও তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল জরিমানা কিংবা নিয়মিত মামলা করা হয় নাই ।
প্রায় ১০ লাখ টাকা মুল্যের ১৬ হাজার কেজি সরকারী চাল তৎসঙ্গে ব্যবসায়ীর আরও অনেক পন্য গুদামে মওজুদ অবস্থায় প্রশাসনের উপস্থিতিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চাবি সংরক্ষন করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোছাঃ খালেদা বেগম ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।
দীর্ঘদিন হতে জামিনুরের চলমান অবৈধ কালো বাজারি চাল ব্যবসা স্থানীয় সচেতন লোকজন বুঝতে পেরে গত ৭ আগষ্ট'২০২৫ গুদামে মওজুদ সরকারী খাদ্য গুদামের সীলযুক্ত চটের বস্তার চাল পাল্টিয়ে প্লাস্টিক বস্তায় প্যাকেট করে বাজারজাত করার প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এবং এনএসআই-এর ২ জন সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
তারা সরকারী চটের ৫৩৩ বস্তা চালের লট পাল্টানো দৃশ্য দেখতে পান। ঘটনাটি থানা পুলিশ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি কে অবগত করলে, সঙ্গীয় ফোর্স সহ এসআই সুমন দেবনাথ এবং এসিল্যান্ড দিপংকর বর্মন হাজির হন।
উৎসুক জনতার ভীড় জমে। বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ব্যপক প্রচার হয়েছে।
অভিযানিক দলের সামনে অভিযুক্ত জামিনুর রহমান জানান,চালগুলো টাঙ্গাইল খেকে কিনে এনেছে। তার ডক্যুমেন্ট রয়েছে বলে দাবী করেন।
দোষ স্বীকার না করায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড। গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে সবাই চলে যান।
গোপন সংবাদ দাতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন প্রকার ছাড় দিলে বা অপরাধীকে আড়াল করলে তীব্র প্রতিবাদের মাধ্যমে চাল কালো বাজারিদের সিন্ডকেট ভেঙ্গে তছনছ করা হবে।
আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে অপরাধীকে আড়াল করতে ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর ১৩ আগষ্ট'২৫ বীরগঞ্জ থানায় জব্দ তালিকা জমা দেয়া হলে ৬০০ নম্বর সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে মর্মে জানান, এসআই সুমন দেবনাথ।
তিনি আরও জানান এই জিডির আলোকে মাননীয় আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে, নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিন্তু নিয়মিত মামলা না হওয়া এবং কালক্ষেপণের কারণ কি এমন প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে বিষয়টি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তার কাছে শুনতে বলেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইনগত ব্যবস্থার জন্য জব্দ তালিকা স্বাক্ষর করে থানায় পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি ।
কালক্ষেপণ এবং মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোন অনিয়মের সুযোগ নাই।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভুমি দীপংকর বর্মনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঐ দিনেই তো মামলা করার কথা বলা হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা মোঃ আব্দুল গফুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপরাধী কে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
মতামত