দিনাজপুর

র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েbদিনাজপুরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত

প্রিন্ট
র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েbদিনাজপুরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত

ছবি : র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েbদিনাজপুরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত।


প্রকাশিত : ৯ আগস্ট ২০২৫, রাত ১০:০৬

‘আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যত বিনির্মাণ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে বাংলাদেশ আদিবাসী মুক্তি মোর্চা জেলা শাখা ও আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি সদরের আয়োজনে শহরের কলেজ মোড়স্থ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমিতে দিবসটি পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। তিনি বলেন, “আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো শিক্ষা। নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হতে হবে। অতীতে আওয়ামী লীগ শুধু ভোটের রাজনীতিতে আদিবাসীদের ব্যবহার করেছে, কিন্তু তাদের মৌলিক সমস্যার সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিএনপি শুধু মুখে মুখে প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয়, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। ভবিষ্যতে আদিবাসীদের যে কোন সমস্যায় বিএনপি সবার আগে পাশে থাকবে।”

আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি লুকাস সরেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সভাপতি সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুন্না, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ জেলা শাখার আহবায়ক কিবরিয়া হোসেন, ঝানজিরা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র (জেএসকেএস) নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল, আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি কাহারোল উপজেলার সভাপতি নারায়ন মার্ডি। 

বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত নয়, এ দেশে সকল জাতি গোষ্ঠীর সমান অধিকার রয়েছে। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের অংশগ্রহন স্মরণীয়। তাই বৈষম্য দূর করতে হলে আদিবাসীদের মধ্যে থেকে ইউনিয়ন এবং সংসদে প্রতিনিধি থাকা উচিত। বক্তাগণ বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু আদিবাসীদের আইকন ‘সিধু-কানু’র মূর‌্যাল কেন ভাঙ্গা হলো ? অবিলম্বে সিধু কানুর মুর‌্যাল তৈরি না করা হলে, আদিবাসীরা আন্দোলনে যাবে।

এর আগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী মুক্তি মোর্চা জেলা শাখার সভাপতি আলবিনুস টুডু। এরপর সেখান থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সাংস্কৃতিক একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীতে বিভিন্ন শ্লোগানের পাশাপাশি ‘আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে’ এমন শ্লোগান দেয়া হয়।

র‌্যালী ও আলোচনা শেষে আদিবাসী মুক্তি মোর্চা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকর মুর্মু’র সঞ্চালনায় আদিবাসী শিল্পীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক আাদবাসী নারী-পুরুষ অংশ নেন।