হাকিমপুর

যেসব স্থলবন্দর লোকসানে চলছে সেসব বন্ধ করে দেওয়া হবে- উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

প্রিন্ট
যেসব স্থলবন্দর লোকসানে চলছে সেসব বন্ধ করে দেওয়া হবে- উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

ছবি : যেসব স্থলবন্দর লোকসানে চলছে সেসব বন্ধ করে দেওয়া হবে- উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।


প্রকাশিত : ৯ আগস্ট ২০২৫, বিকাল ৫:১৬

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে বর্তমান সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমন আমদানি-রফতানি হয় না, কিন্তু বন্দর বানিয়ে রাখা হয়েছে এবংলোকসানে চলছে সেসব বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে।ইতিমধ্যে ৪ টি বন্দর বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে চারটি বন্ধ করতে পেরেছি। বাকি ২০টি বন্দর রয়েছে এর মধ্যে কার্যকর ১২ থেকে ১৪টির বেশি নেই। এসব বন্দরকে আধুনিকায়ন করে কী হবে- এক পয়সা যেখানে আয় নেই। সারা বছর যেখানে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ খরচ হচ্ছে এর চেয়ে অনেক বেশি। যেগুলো কার্যকর ও বড় বন্দর সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এখানে ও কিছু অব্যবস্থার কথা শুনলাম বন্দরের চেয়ারম্যান মহোদয় কে বলে দিয়েছি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে।

তিনি আরও বলেন, দেশের কিছু নদী বন্দর রয়েছে এগুলোকেও আমরা বন্দরের ন্যায় বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এর আগে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, হিলি বন্দরের সভা কক্ষে কাস্টমস বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার ওয়্যারহাউজ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরের যেসব অনিয়ম ও পণ্য আমদানিতে জটিলতা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন ও এর সমাধান চান উপদেষ্টার কাছে।

পরে তিনি বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় সেখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার, হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার, বাংলাহিলি কাস্টমস সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম,হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, ব্যবসায়ী মোঃ মুশফিকুর রহমান চৌধুরী, এস এম রেজা বিপুল, নুর ইসলাম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।