ছবি : হাকিমপুর হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার মামলায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ ১০ জন গ্রেফতার
দিনাজপুরের হিলিতে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্মরত চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়েরের ১ ঘন্টার মধ্যে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আল মামুন সহ ১০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আসামীদেরকে ডিবির পুলিশের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়।এঘটনায় এলাকায় চাঞ্জল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরের পর জেলা সিভিল র্সাজন ড.মোঃ আসিফ ফৈরদৌস দিক নির্দেশনায় ও উপজেলা সাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে ভুক্তভোগি ডা.মশিউর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলা দায়েরেরর ১ ঘন্টার মধ্যে থানা ও ডিবি পুলিশের চৌকশ দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্ববায়ক আল মামুনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেন। তৎক্ষনিক জেলা ডিবি পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে পেরণ করা হয়েছে বলে জানান থানা পুলিশ। হাকিমপুর থানা মামলা নং ০১।
আটককৃত ব্যাক্তিরা হলেন, পৌর শহরের মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের ওমর ফারুক(৪৫) ও তার স্ত্রী সুখি খাতুন(৩০), চন্ডিপুর এলাকার আল মামুন(৩৫), দক্ষিণবাসুদেবপুর এলাকার আমিরুল ইসলাম কদম(৪০), মধ্যবাসুদেবপুর এলাকার খোকন মন্ডল(৩৮), একই এলাকার শাওন(৩০), চন্ডিপুর এলাকার সাদ্দাম হোসেন(৩৬), ওয়াদুদ হোসেন(৩৬),আলতাব হোসেন রাজা(৪৫),ও আহসান হাবিবকে (৩৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত এস এম জাহাঙ্গির আলম।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই হাকিমপুর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মশিউর রহমান সকাল ৮ ঘটিকা থেকে দুপুর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেন। এসময় আসামি ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী সুখি খাতুন দীর্ঘ ১০-১২ দিন যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ায় রিলিজ নেওয়ার কথা বলে ডাক্তার। এবিষয়ে বাকবিতন্ডা হয়। কিছুক্ষণ পরে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আল মামুন সহ ১০-১২ জন মিলে জরুরি বিভাগে ডাক্তার মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তার মোবাইল কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে উর্ধতন কতৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় মামলা দায়ের করেন।
হাকিমপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনা ও সার্কেল এএসপি অ ন ম নিয়ামত উল্লাহ মহোদয়ের পরামর্শে গত ৩১ জুলাই হাকিমপুর সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসককে মারপিঠের ঘটনায় ভুক্তভোগী ডাক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে থানা ও ডিবি পুলিশের চৌকস দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মতামত