পার্বতীপুর

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট উৎপাদনে; ১২ ঘন্টা পর প্রথম ইউনিট বন্ধ

প্রিন্ট
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট উৎপাদনে; ১২ ঘন্টা পর প্রথম ইউনিট বন্ধ

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৫৯



দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে এই ইউনিটের উৎপাদন শুরু হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। 

বৃহস্পতিবার সকালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে যাওয়ায় সেটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। 

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউনিটটি মেরামত করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদন শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, এই টিউবটি ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার। সেটি শীলতরার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। শীতল হলে আগামীকাল থেকেই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। এখন তৃতীয় ইউনিট থেকে ১৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। আর ১নং ইউনিটটি বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত ৫০ থেকে ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছিল। 

বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ২১ জুলাই সকালে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বন্ধ হয়ে যায়। এর পর সন্ধ্যায় জাতীয় গ্রীডে সমস্যার কারণে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটেরও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর প্রথম ইউনিটটি চালু করা হলেও তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধই ছিল। 

অবশেষে ১০ দিন পর বুধবার রাতে তৃতীয় ইউনিটটি সম্পূর্ণ মেরামত শেষে চালু করে কর্তৃপক্ষ। রাত থেকেই এই ইউনিটটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে ইউনিটটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ২নং ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। 

২০০৬ সালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া এলাকায় কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। প্রথমে ১২৫ করে দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২৫০ মেগাওয়াট। ২০১৭ সালে এই কেন্দ্রে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়।