সারাদেশ

বীরগঞ্জে সাবেক এমপির সহযোগী অমৃত রায়ের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রিন্ট
বীরগঞ্জে সাবেক এমপির সহযোগী  অমৃত রায়ের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি : বীরগঞ্জে সাবেক এমপির সহযোগী অমৃত রায়ের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২৫, দুপুর ১২:৫৮


চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে এক জনের নিকট প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক  এমপি মনোরঞ্জন শীল  গোপালের সহযোগী অমৃত রায়ের বিরুদ্ধে। 

ভুক্তভোগীরা জানান এই সিন্ডিকেট বিগত ১৭ বছরে গোপালের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেক কে সর্বশান্ত করেছে। 

ঘটনার সাথে জড়িত জয়নন্দ ডিগ্রী কলেজের কম্পিউটার অপারেট অমৃত রায় ও প্রভাষক পার্থ রায়ের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের লষ্করপুর গ্রামের অমৃত দাসের ছেলে অদিত্য চন্দ্র দাস তপু বীরগঞ্জ থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করে জানান, একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ডোলচাঁন রায়ের ছেলে কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার অপারেটর অমৃত রায় ও প্রভাষক পার্থ রায় বিভিন্ন সময় চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০ জুলাই'২০১৭ সালে  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

টাকা ফেরত চাইলেও না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে, এমনকি নানা হুমকি-ধমকিও দিয়েছে। 

এভাবে বিগত ৮-৯ বছর  ধরে তারা এসব অসহায় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছে। 

ক্ষতিগ্রস্ত অদিত্য চন্দ্র দাস তপু আরও বলেন, সাবেক  এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী হিসেবে এলাকার অনেকের কাছে একই ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

টাকা নেয়ার পর  চাকরি না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। টাকা ফেরত চাইলেও তারা হুমকি ধামকি দেয়। গত ১০ জুলাই'২০২৫ তারিখে অমৃত রায়ের বাড়িতে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে।

প্রতারক অমৃত রায় কে গ্রেপ্তার করে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ক্ষতিগ্রস্ত আদিত্য দাস তপু।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোপাল লাপাত্তা, সহযোগী অমৃত দাসের সাথে কথা হলে বলেন গোপালদা আমাকে খুব পছন্দ করত, খুব ভালবাসতেন, দীর্ঘদিন তার সাথে ছিলাম তবে চাকরি দেওয়ার নামে কাউরো নিকট কোন টাকা গ্রহণ করি নাই।

তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন কিন্তু তার শ্যালক কৌশল  জানান, আমার আপন ভগ্নিপতি অমৃত রায় তিন লাখ টাকা নিয়ে কোন চাকরি দেয়নি টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। 

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন অমৃত দাসকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে দুর্নীতিবাজ সাবেক এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের চাকুরী বাণিজ্যে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত হবে।

আদিত্য দাস তপু'র দাখিলকৃত অভিযোগ পেয়েছেন মর্মে স্বীকার করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর ।