সারাদেশ

বীরগঞ্জে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে আমন ধান চাষে বিপাকে কৃষক

প্রিন্ট
বীরগঞ্জে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে আমন ধান চাষে বিপাকে কৃষক

ছবি : বীরগঞ্জে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে আমন ধান চাষে বিপাকে কৃষক


প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৩৭ আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৪০

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আষাঢ়  শেষ হয়ে শ্রাবণ এলেও এখনো পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে মাঝেমাধ্যে মেঘ জমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠঘাট হয়ে গেছে পানিশূন্য। এতে \'আমন ধান চাষে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার  কয়েক লাখ কৃষক। মাঝেমধ্যে  দিনে সামান্য বৃষ্টি হলেও মাঠ ভিজছে না। বাধ্য হয়ে কৃষকরা সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ করছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবেঅতিরিক্ত খরচ শুনতে হচ্ছে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। 

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২৯ হাজার ৫ শত ৭৮ হেক্টর। জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে।৯ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আগমন রোপণ করা হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ধান বীজ ও সার। বৃহস্পতিবার ( ১৭ জুলাই  -২০২৫) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, পানির অভাবে অনেক জমি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। কিছু জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার কোথাও কোথাও চারা শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। তবুও মাঠে কাজ কর কৃষকরা। অনেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে  আছে বৃষ্টির আশায়। 

উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দামাইক্ষত্র গ্রামের কৃষক কৃষ্ণ চন্দ্র ও সুজালপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের সতীশ চন্দ্র  বর্মণ বলেন, আষাঢ় শেষ হয়ে গেল, শ্রাবণ শুরু হল। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা রোপন করছি। এতে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। উপজেলার শিবরামপুর  ইউনিয়নের কৃষক শাহজালাল  বলেন, কী আর করার, হামার পোড়া কপাল। আকাশ মেঘ বরলেও বৃষ্টি নাই। শ্যালোর পানি ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই। সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হলে হামর এত খরচের জন্য লোকসান গোনা লাগিবে। 

পৌরসভার  ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম  বলেন, বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। অনেক জমিতে পানি যাওয়ার উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। ফলে পলিথিন পাইপ বসিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছি।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি না না থাকায় এ বছর খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে। তবে আমরা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছি, যাতে তারা বড় কোনো সমস্যায় না পড়েন। নিয়মিত উপ-সহকারীরা কৃষকদের খোঁজ খবর রাখছেন।