ছবি : ধর্ষক মোসলেম উদ্দিন (৫৮) ।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের কোঁদালকাটি গ্রামে প্রতিবেশী দাদা কর্তৃক শিশু কন্যা ধর্ষনের শিকার হয়। লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় বিষ পান করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লো শিশু (১৪)।
বোচাগঞ্জ থানার মামলার বিররনীতে জানা গেছে, উপজেলার কোঁদালকাটি গ্রামের মাজাহারুল ইসলামের কন্যা সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী তার দাদার বাড়ীতে দাদির সাথে থাকতো। প্রতেবেশী দাদা মোঃ মোসলেম উদ্দিন (৫৮) দীর্ঘদিন থেকে শিশু কন্যা সাথে বিভিন্ন খাবারের লোভ দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে আসছিলেন। একথা জানাজানি হলে লোকলজ্জার ভয়ে গত ২১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিশু বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ীর লোকজন টের পেয়ে প্রথমে বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। দীর্ঘ ১৫ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় ৫ জুলাই রাতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন শিশুটি। মৃত্যুর আগে শিশু কন্যার কাছে তার পিতা বিষ খাওয়ার কারন জানতে চাইলে তার মেয়ে জানান, প্রতিবেশী দাদা মোসলেম উদ্দীন দীর্ঘ এক বছর থেকে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছেন। ভয়ভীতি ও লোকলজ্জার ভয়ে দেখালে আমি বিষপান করি।
এ বিষয়ে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে বোচাগঞ্জ থানায় গত ৩০ জুন একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষনের অভিযোগে মোসলেমউদ্দীনকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেলা জেল হাজতে প্রেরন করেন। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ কথিত দাদুর উপযুক্ত বিচার দাবী করেছেন।
বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান জাহিদ সরকার জানান, নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মতামত