কৃষি

দিনাজপুরে সরকারের ভতুর্কির গাড়ী দেখাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ

প্রিন্ট
দিনাজপুরে সরকারের ভতুর্কির গাড়ী দেখাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ

ছবি : দিনাজপুরে সরকারের ভতুর্কির গাড়ী দেখাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ


প্রকাশিত : ৬ জুলাই ২০২৫, সকাল ১১:৫৮

দিনাজপুরে সরকারের ভর্তুকিমূল্যে ট্রাক বরাদ্দ পেয়েও তা ক্রয় করতে পারছেন না ভোক্তা। বরাদ্দকৃত মডেলের ট্রাক কোম্পানী থেকে না দেখিয়েই টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নিটল মোটরসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে দিনাজপুর কৃষি বিপনন কর্মকর্তার মাধ্যমে অধিদপ্তরের এই প্রকল্পের পরিচালক বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। 

গত ২২ জুন দিনাজপুরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এসএসিপি (বিপণন অংগ) কম্পোনেন্ট ডাইরেক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন জেলার হুমাইরা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী নারী। 

অভিযোগ করা হয়, "স্মলহোন্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) (বিপণন অংগ) (২য় সংশোধিত) এর আওতায় (RANISঅংশে) ১৬/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখের স্মারক নং ১২.০২.০০০০.৫৪১.৪২.০০১.১৯-৫৮২ সংখ্যক ম্যাচিং গ্রান্ড মঞ্জুরী আদেশে আমি/আমাদের নামে Nitol Motors Ltd TATA-LPT 1109 Open Truck মঞ্জুরী হয়। যার ম্যাচিং গ্রান্ড মঞ্জুরী টাকার পরিমান ১০ ল টাকা। কিন্তু Nitol Motors Ltd কে বাকি টাকা পরিশোধ করতে চাইলে তারা আমাদেরকে নির্ধারিত পণ্যটি হাজির করিতে পারছে না। এর আগেও আমরা পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছি যে, সরকারী ভর্তুকির অনেক যন্ত্র দেয়া হয়েছে পুরাতন কিংবা ব্যবহার করা। এতে করে অনেক কৃষক ও সেবাগ্রহীতা প্রতারিত হয়েছেন। আমরা যদি টাকা দিয়ে নির্ধারিত পণ্যটিতে প্রতারণার শিকার হই, এতে আমরা শঙ্কিত। বারবার কোম্পানীতে যাওয়া হলেও আমরা যে পন্যটি নিবো তা দেখাতে পারছেন না। পণ্য না দেখে আমরা কিভাবে সেটা ক্রয় করবো। এমতাবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান ওই ভুক্তভোগী নারী। 

ওই নারী অভিযোগ করেন, টাকা দিয়ে যে কোন পণ্য নেয়ার আগে পণ্যটি দেখে নেয়ার সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে ওই ট্রাকটি দেখানো হয়নি। বারবার যাওয়া হলেও নির্দিষ্ট মডেলের পণ্যটি দেখতে না পেয়ে আমরা আর টাকা জমা দেইনি। এখন বলা হচ্ছে, টাকা জমা না দিলে পণ্য পাওয়া যাবে না। কিন্তু পণ্য না দেখে টাকা জমা দিলে পরবর্তীতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষি ভর্তূতির অনেক পণ্য না দেখে ক্রয় করে কৃষকরা প্রতারিত হয়েছে এমন সংবাদ আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছি। যদি আমাদের সাথে এমনটি করা হয় তাহলে আমাদের করার কি আছে? কিন্তু এখন পণ্য না দেখে টাকা জমা না দেয়ায় আমাদের পণ্যটি সম্ভবত বাতিল হয়ে যাবে। এতে সরকারের যে সুবিধা তা থেকে আমরা বঞ্চিত হবো। বিষয়টি জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোন কাজ হয়নি। 

লিটর মোটরস লিমিটেডের দিনাজপুর শাখার নির্বাহী অনিক বলেন, এই প্রকল্পের অধিনে যিনি যন্ত্র নিবেন তিনি যদি সেই যন্ত্র নিতে আগ্রহী থাকেন তাহলে কিছু অর্থ বুকিং করলে আমরা সেই পণ্যটি হাজির করি। আমাদের দিনাজপুরে কোন শোরুম নেই। যশোর থেকে পণ্য নিয়ে এসে ক্রেতাকে দেখাতে হয়। তাই এই বুকিং গ্রহণ করা হয়ে থাকে। 

কথা হলে দিনাজপুর সিনিয়র কৃষি বিপনন কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, গাড়ী ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ভোক্তা ও কোম্পানীর। যদি কোম্পানী গাড়ী না দেখিয়ে টাকা চায় তাহলেও আমাদের করার কিছুই নাই। আমাদের কাছে যে অভিযোগটি এসেছে তা আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে প্রেরন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখান থেকে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। এরই মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে ট্রাক পাওয়ার যে সময়সীমা তা শেষ হয়ে গেছে।