‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ (বিজিপি) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। দলটির দাপ্তরিক কার্যালয় হিসেবে দেখানো হয়েছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হক ভিলার পঞ্চম তলা। তবে সরেজমিনে সেখানে দলীয় কার্যালয়ের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকদিন আগে হক ভিলার পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লোরজুড়ে ইটের স্তূপ ও নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেখানে দরজা-জানালাবিহীন দুটি ঘর রয়েছে, যেগুলোর মেঝেতেও ইট ও খোয়ার স্তূপ। কোনো আসবাব নেই, নেই কোনো দলীয় চিহ্ন বা সাইনবোর্ড।
ভবনের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ওই ভবনে বা মহল্লায় রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম কখনো লক্ষ করেননি তাঁরা। অনেকেই ‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ নামের কোনো দল সম্পর্কে জানেন না বলেও জানান।
হক ভিলাসংলগ্ন বাসিন্দা ও নবাবগঞ্জ কারিগরি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি নামে কোনো রাজনৈতিক দল আছে বা তাদের কোনো কার্যক্রম হয় বলে আমার জানা নেই।’
দলটির শীর্ষ পদের নাম ‘জেনারেল চেয়ারম্যান’। ওই পদে আছেন হক ভিলার মালিক রেজাউল হক। তিনি পেশায় আইনজীবী। সাধারণত দিনে দিনাজপুর আদালতে থাকেন এবং সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন।
গত কয়েকদিন আগে হক ভিলায় গিয়ে জানা যায়, রেজাউল হক ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ভবনের তৃতীয় তলায় নির্মাণকাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান বলেন, গত ছয় মাসে ভবনের পঞ্চম তলায় কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা কার্যক্রম হতে দেখেননি।
মুঠোফোনে আইনজীবী রেজাউল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি (বিজিপি) যাত্রা শুরু করে। এই দলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি আছে। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার তালাশ মামুন।
কার্যালয়ের অস্তিত্ব না থাকার বিষয়ে রেজাউল হক বলেন, যখন নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিলেন, তখন তিনি সব কাগজ দিতে পারেননি। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো নিবন্ধন পাবেন না। সে জন্য টাকা খরচ করে কার্যালয় তৈরির কাজটি আর করেননি।
মতামত