খানসামা

খানসামায় নেই করোনা পরীক্ষার কিট, ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীরা

প্রিন্ট
খানসামায় নেই করোনা পরীক্ষার কিট, ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীরা

প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২৫, বিকাল ৫:১২


দ্বিতীয় দফায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরু হলেও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই করোনা পরীক্ষার কিট। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরতদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণেরও সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে একদিকে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ, অন্যদিকে ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্য সময়ের চেয়ে বেড়েছে। উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েই বাড়ি ফিরছেন তারা।

রবিবার (২২ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ রোগীই তা মানছেন না। এমনকি উপসর্গ থাকা রোগীরাও অন্যদের সঙ্গে মিশে একই পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন, যা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা সীমিত সরঞ্জাম দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে সেবা নিতে আসা রোগীদের মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব বজায় রাখা ও প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, “বর্তমানে আমাদের কাছে করোনা পরীক্ষার কোনো কিট নেই। প্রায় ৫ হাজার কিটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো সরবরাহ হয়নি।” তিনি আরও জানান, পরীক্ষা না করতে পারলেও সম্ভাব্য আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও সচেতন করতে কাজ করছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, “বিষয়টি দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।