দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবি, বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট বা আমদানি কারকরা ৬০ টাকা প্রতি টন কাজের মুল্য দেয় এরপরও শ্রমিকরা ১৩ টাকা টন প্রতি পায়। শ্রমিকদের ন্যায্য মূল আদায়ের লক্ষ্য এই কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন তারা। তাদের ন্যায্য মুল্য না দেওয়া হলে এই কর্মবিরতি চলবে বলে জানান শ্রমিকরা।
শনিবার (২১ জুন) দুপুর ১ টার দিকে হিলি স্থলবন্দরের পানামাপোর্টের শ্রমিকেরা এই কর্ম বিরতি পালন করছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডর অভ্যান্তরে কর্মরত শ্রমিকরা গাড়ি লোড আনলোড এর কাজ বাদ দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের চোখে মুখে কষ্টের চাপ দেখা গেছে।
জানতে চাইলে কয়েকজন শ্রমিক আক্ষেপ করে বলেন, আমরা ২০ বছর থেকে হিলি পানামা পোর্টে পণ্য লোড আনলোড করে আসতেছি। কিন্তু ন্যায্য মূল্য কখনো পাইনি। পোর্টে সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করি কিন্তু বিনিময়ে আমরা আমাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাই না। আমরা এখানে কাজ করে বাড়িতে বউ বাচ্চাদের ভালো কিছু খাওয়াতে পারি না। আমাদের বাচ্চাদের ভালো স্কুলে পড়া লেখা করাতে পারি না।
তারা আরও বলেন, এর আগে আমাদেরকে ২০ টাকা টন হিসেবে মজুরি দেওয়া হতো কিন্তু এখন ১৩ টাকা টন হিসেবে মজুরি দেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই আমরা আজকে থেকে কর্ম বিরতি পালন শুরু করেছি। আমাদের দাবী আমাদের পরিশ্রমের ন্যায্য মুল্য দিতে হবে, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে হুশিয়ারী দেন শ্রমিকরা। এতো দিন বহু নেতা আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে সবসময় বঞ্চিত। আমরা আমাদের সংগঠনের সভাপতি, সেক্রেটারি বানায়ছি তার পরও কাজ হচ্ছে না। আমাদের টন প্রতি ১৩ টাকা দেওয়া হয়। আবার সেখান থেকে সরদার কমিশন খায় ৬ টাকা আমরা পাচ্ছি ৭ টাকা। তাই সরদারকে কত টাকা টন প্রতি দেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা পরিস্কার ভাবে জানতে চাই।
এছাড়াও তাদের দাবী, এ্যাকাউন্ট বিল্ডিং শাখা থেকে শ্রমিকদের জন্য কত টাকা দেওয়া হয় সেই কপি আমাদেরকে দেওয়া হোক। আমরা দেখতে চাই আসলে শ্রমিকদের কত টাকা দেওয়া হয় টন প্রতি।
মতামত