চলমান প্রচন্ড তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য চাহিদা বেড়েছে ডাবের। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বাজারে ক্রেতা বেড়ে যাওয়ায় হাতের নাগালে রয়েছে মৌসুমি ফল আম ও লিচুর দাম। পর্যাপ্ত জোগানও রয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে বীরগঞ্জ পৌরশহরের তাজ মহল সিনেমা হলের সামনে এবং বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে তিন ধরনের আম পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে হাড়িঙাঙ্গা, ল্যাংড়া ও মিশ্রী ভোগ আকারভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পরিত্যক্ত ডাক্তার খানা মাঠ সংলগ্ন ফলের বাজারে ডাব বিক্রি এরশাদ ও রস্মিনী। কথা হলে তারা বলেন, কয়কদিনের প্রচন্ড গরমে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। আগের তুলনায় ৪০-৫০ পিস বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের ডাব ১০০-১২০ টাকা ও বড় সাইজের ডাব ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আরও বলেন, খুলনা , বরিশাল থেকে আবার কখনো সৈয়দপুর বাজার দিনাজপুর আড়ৎ থেকে ডাব এনে বিক্রি করছি। ডাবের দাম এখন কিছুটা কম।
ঘরমুখো মানুষ ঢাকায় ফিরলে দাম আর কমতে পারে। দোকানটিতে কথা হলে এক পথচারী বলেন, তীব্র গরমে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তাই ক্লান্তি দূর ও তৃষ্ণা মেটে।
যারা ঢাকায় এসেছে তাদের অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেতে কিনছেন আম ও লিচু। কেউ কেউ বাসার জন্যও কিনছেন আম, জাম ও কাঁঠাল।
বীরগঞ্জ বিজয় চত্বর এলাকায় কথা হয় ফল ব্যবসায়ী হান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন মিশ্রীভোগ বিক্রি হচ্ছে বেশি। বড় আকারের হাঁড়িভাঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। তবে, ল্যাংড়া ও হিমসাগরের চাহিদা কম। আর একশ লিচু বিক্রি করছি ৬০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০-৪৬০ টাকা। সিজন শেষের দিকে, তাই দাম একটু বাড়তি।
তিনি বলেন, কোথাও লিচুর দাম প্রতি একশতে (১০০ লিচু) ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। আকারভেদে প্রতি পিস কাঁঠাল ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়েনি আমের দাম।
তাজ মহল সিনেমা হলের সামনে দোকানদার বাদশা লিচু বিক্রি করছিলেন ৫০০ টাকায়। তিনি বলেন, এগুলো অরজিনাল বোম্বাই লিচু। গত সপ্তাহে ৪৫০-৪৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। সিজন শেষের দিকে তাই একটু দাম বেড়েছে। জাম ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মতামত