বীরগঞ্জ

বীরগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট

প্রিন্ট
বীরগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট

প্রকাশিত : ৪ জুন ২০২৫, সন্ধ্যা ৮:৪০


দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে অস্থায়ী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া চলমান থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন হাটে ভিড় করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মুসলমানদের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের মতো নবীনগরেও কোরবানির পশুর হাট গুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। সরজমিনে দেখা যায় বীরগঞ্জ পৌরহাট,বাড়াবাড়ি হাট,কবিরাজহাটসহ সবচেয়ে বড় গোলাপগঞ্জ পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম চোখে পড়ার মতো। পশু বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিশেষ করে দেশি জাতের মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। অনেকেই এখনই কোরবানির পশু কিনে রাখার চেষ্টা করছেন। কারণ শেষ মুহূর্তে দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে এবার পশুর দাম তুলনামূলক ভাবে সহনশীল। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,বীরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪৪ হাজার ৯৮৪টি পশু। তবে চাহিদা রয়েছে ২৬ হাজার ৫৫টি পশুর। ফলে এবার চাহিদার তুলনায় ১৮ হাজার ৯২৯টি পশু বেশি রয়েছে। উপজেলার ৫ হাজার ১৫০ খামারিরা এসব পশু পরিচর্যা করে বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন। স্থানীয় খামারিরা জানান, এবার ভারতীয় গরু না আসায় তারা স্বস্তিতে আছেন। 

পশুর হাটগুলোতে এবার চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৮ হাজার অতিরিক্ত পণ্ড উঠেছে। ফলে হাটে পশুর সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। যেখানে বেপারীরা কেনার চাইতে ১০-১৫ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যা খামারি ও বিক্রেতাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যেরদাম বৃদ্ধি, শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম কিছুটা বেশি। তারা জানিয়েছেন, পশু গুলোকে প্রাকৃতিক ভাবে বড় করতে নিজেদের জমিতে উৎপাদিত ঘাস, বিচালি, খৈল, ভুসি ও ভুট্টা খাওয়ানো হয়েছে। কোন কৃত্রিম কেমিক্যাল প্রয়োগ করা হয় নাই। এক বিক্রেতা বলেন, আবহাওয়ার সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্তু বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকেই অনেক গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করি ঈদের আগের কয়েক দিন আরও ভালো বিক্রি হবে। উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানিরহাট গোলাপগঞ্জে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার 

সাপ্তাহে দু'দিন হাট বসে। গত সোমবার হাট ঘুরে দেখা যায় সবচেয়ে বড় গরু লাল বাবু'র দাম হাঁকানো হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। 

গোলাপগঞ্জ হাট ইজারাদার নুরুল আমিন সেলিম মাষ্টার বলেন,বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ হাট এর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এই হাটের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় ক্রেতা এবং বিক্রেতারা কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই তাদের গরু কেনাবেচা করতে পারাচ্ছেন। গত হাটে গরু ৪৮৫ এবং ছাগল ১১৫ টি কেনাবেচা হয়েছে। বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহরিয়ার মান্নান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জসহ কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এখানকার স্থায়ী ও মৌসুমি খামারিদের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতে কোরবানির জন্য পশু পালন করেছেন। এবার চাহিদার তুলনায় পশু বেশি থাকায় কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই।