ছবি : কচু-লতি চাষে স্বাবলম্বী আবু বক্কর সিদ্দিক।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের ডাক্তার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক শাহ ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০)।
আবু বক্কর সিদ্দিক ইউটিউবে ভিডিও দেখে উৎসাহী হয়ে ও ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব এর পরামর্শে কচু-লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি এই সবজি চাষের উদ্যোগ নেন তিনি। চলতি বছর থেকে সফলতার মুখও দেখছেন।
জানা যায়, আবু বক্কর সিদ্দিক রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে ডিপ্লোমা করেন। তরুন বয়সে বাবা মা কে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। জিবিকার তাগীতে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত হলেও কোথাও সফলতার মুখ দেখতে পাননি।
তবে এবার তিনি বসতবাড়ির পাশের এক একর জমিতে লতিরাজ কচু বারী- ২ জাতের কচু-লতি চাষ করেছেন। ফসলের যত্নে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন। ফসল রোপণ থেকে উত্তোলন ও দেখভালে একাই নিয়োজিত তিনি। ফলন ভালো করতে টিএসপি, ইউরিয়া ও জৈব স্যার ব্যবহার করেছেন।
কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ বছর তিনি এক একর জমিতে কচু-লতি চাষ করেছেন। রোপণ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৯৫ হাজার টাকার সবজি বাজারে বিক্রি করেছেন। আরও অন্তত ৫ লক্ষ টাকার কচু-লতি জমিতে আছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব জানান, উপজেলার প্রত্যেকটি মাঠে আমরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা বলেন, কচু একটি দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক ফসল।কৃষক অন্য যেকোন ফসলের চাইতে কচু চাষ করে অল্প খরচে বেশী লাভবান হতে পারেন। কচু ও লতি চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মতামত